বিএনপি নেতা রফিকুলের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি প্রায় ৯ বছর আগের
গণমাধ্যমের সুত্রে বুম বাংলাদেশ নিশ্চিত হয়েছে, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামকে হত্যার ঘটনাটি ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দাবি করা হচ্ছে, ঢাকার ৫৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলামের লাশ হাতকড়া পরা অবস্থায় কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেখুন এমন কিছু পোস্টের লিংক এখানে এবং এখানে।
গত ১০ জানুয়ারি 'Bangladesh Nationalist Publicity Party' নামের ফেসবুকের পেজ থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয়। দাবি করা হয়, ঢাকার ৫৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলামের হাতকড়া পরা লাশ কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার। পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে, ঘটনাটি সাম্প্রতিক। দেখুন সেই পোস্টের স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, বিএনপি নেতা রফিকুলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ও ছবিটি প্রায় ৯ বছর পুরোনো। একাধিক উৎস থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে ঘটনাটি ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের। দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার অফিশিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ছবিটি ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি পোস্ট করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের মাঠ থেকে হাতকড়া লাগানো অবস্থায় রফিকুল ইসলাম মজুমদারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে। দেখুন নয়া দিগন্তের ফেসবুক পোস্টটি--
এছাড়া একই খবর প্রকাশিত হয় বাংলানিউজ২৪ এও। দেখুন--
খবরটি পড়ুন এখানে।
পরবর্তীতে র্যাব এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে। একই বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে র্যাবের বরাতে একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল নিহত রফিকুলের শ্বাশুড়ি। দেখুন এ সংক্রান্ত প্রথম আলোর প্রতিবেদন--
পড়ুন এখানে। এ সংক্রান্ত যুগান্তরের প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।
অর্থাৎ ২০১৩ সালের বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের পুরোনো ঘটনাকে সাম্প্রতিক হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।