ফেক নিউজ
একসাথে পাঁচ সন্তান জন্ম দানের খবরটি পুরনো
২০২০ সালের আগস্টে কুমিল্লার লাকসামে এক প্রসূতি মায়ের পাঁচ সন্তান প্রসব করার ঘটনা নতুন করে ছড়ানো হচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যমে 'কুমিল্লায় অ'স্ত্রোপচার ছাড়াই একস'ঙ্গে পাঁচ স'ন্তানের জ'ন্ম দিয়েছেন প্রসূতি মা' শিরোনামে একটি খবর বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের সূত্রে বিভিন্ন প্রোফাইল ও পেজ থেকে ছড়ানো হচ্ছে। কিছু পোর্টালের খবর দেখুন এখানে ও এখানে।
আরেকটি পোস্ট দেখুন এখানে।
যদিও মূল খবরে ঘটনাটি গত আগস্টের বলে উল্লেখ আছে কিন্তু আপলোডের সময় খেয়াল করলে দেখা যায় তা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে খবরটি পোস্ট করা হলে সেখানে ঘটনাটি সাম্প্রতিক মনে করে বেশিরভাগ ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন।
ফ্যাক্ট চেক:
ফেসবুকে ছড়ানো খবরেই উল্লেখ করা আছে ঘটনাটি ২০২০ সালের আগস্টের।
প্রকৃতপক্ষে গত আগস্টে কুমিল্লার লাকসাম জেনারেল হসপিটালে একসাথে পাঁচ সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটলে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইনে প্রকাশিত খবর থেকে হুবহু কপি করে এবং কপিরাইট এড়াতে অযাচিতভাবে কিছু যতি চিহ্ন ব্যবহার করে এখন তা বিভিন্ন পোর্টালে ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। ২০২০ সালের ১২ আগস্টের ইত্তেফাকের প্রতিবেদন অনুযায়ী-
'কুমিল্লার লাকসামে এক প্রসূতি মা পাঁচ সন্তান প্রসব করেছেন। বুধবার (১২আগস্ট) দুপুরে লাকসাম জেনারেল হসপিটালে এ সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটে। এ সন্তানদের মধ্যে ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে। তারা সকলে সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ওই প্রসূতির নাম শারমিন আক্তার। সে উপজেলার উত্তরদা ইউপির মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমানের স্ত্রী।
লাকসাম জেনারেলের হসপিটালের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আক্কাস জানান, আজ সকালে ওই প্রসূতি মা হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার লতিফা আক্তার লতার চিকিৎসা তত্বাবধানে দুপুরে পাঁচ সন্তান স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয়। এদিকে ওই পাঁচ সন্তানকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমান মা এবং সন্তানেরা সুস্থ রয়েছে।
এদিকে সন্তানদের পিতা হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, 'এর আগে তার প্রথম সন্তান হলেও মারা যান। বর্তমানে এ পাঁচ সন্তান জন্ম লাভে আনন্দিত হয়ে তাদের জন্য দোয়া চান।'
পুরনো একটি ঘটনার খবরকে এভাবে কোন প্রসঙ্গ ছাড়াই পুনরায় ছড়ানো বিভ্রান্তিকর।
Claim : কুমিল্লায় অস্ত্রোপচার ছাড়াই একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন প্রসূতি মা
Claimed By : Facebook posts
Fact Check : Misleading
Next Story