ময়মনসিংহে মাদ্রাসা ছাত্র নিহতের ঘটনাটি ২০১৮ সালের
২০১৮ সালের ৫ মার্চ স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষকের বেধড়ক পিটুনিতে নিহত হয় ১০ বছরের শিক্ষার্থী তাওহিদুল ইসলাম।
ফেসবুকে একটি খবর একাধিক ছবিসহ ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে, একজন ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এক মাদ্রাসার শিক্ষক। দেখুন এমন কিছু পোস্ট এখানে, এখানে, এবং এখানে।
আজ ১০ মার্চ Shahanaz Begum নামের আইডি থেকে একটি পোস্ট করা হয় যেখানে দাবি করা হয়, গত রবিবার ময়মনসিংহের ভালুকার একজন মাদ্রাসার শিক্ষক আমিনুল ইসলাম একই মাদ্রাসার তাওহিদুল ইসলাম নামের একজন ছাত্রকে বেধড়ক পেটালে ছাত্রটি মারা যায়। দেখুন স্ক্রিনশট-
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, মাদ্রাসার ছাত্র পিটিয়ে মেরে ফেলার খবরটি পুরানো। "গত রবিবার" নয়, তাওহিদুল ইসলাম নামের সেই ছাত্রটি মারা যায় ২০১৮ সালে।
সমকাল পত্রিকার ২০১৮ সালের ৫ মার্চের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক নির্যাতনে গুরুতর আহত হয় হিফজ বিভাগের সেই ছাত্রটি। পরবর্তীতে শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে রাজধানীস্থ বক্ষব্যাধী হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে ৫ মার্চ শিশু তাওহিদুল মারা যায়। দেখুন সমকালের সেই প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট-
এছাড়া দৈনিক ভোরের কাগজেও ২০১৮ সালে একই সংবাদ "'হুজুর আর মারবেন না, মরে যাবো' আকুতি করেছিল তাওহিদুল" শিরোনামে প্রকাশিত হয়।
মূলত গতকাল (৯ মার্চ, ২০২১) চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মারকাযুল ইসলামিক একাডেমি নামের হাফেজি মাদ্রাসা মাদ্রাসায় আট বছর বয়সী এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। এ সংক্রান্ত প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
সেই ভিডিওকে কেন্দ্র করেই ২০১৮ সালের ময়মনসিংহের মাদ্রাসা ছাত্র মারা যাওয়ার ঘটনাটি 'নতুন খবর' হিসেবে ভাইরাল হয় যা বিভ্রান্তিকর।