ফেনীতে একই পরিবারের ৩ ব্যক্তির ইসলাম গ্রহণের খবরটি পুরোনো
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ২০২১ সালে গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়, পুনরায় এর প্রচার বিভ্রান্তিকর।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে একাধিক অনলাইন পোর্টালের লিংক পোস্ট করে, ফেনীতে একই পরিবারের ৩ ব্যক্তির ইসলাম গ্রহণের একটি খবর প্রচার করা হচ্ছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৩১ মার্চ 'MD Arif ' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে অখ্যাত অনলাইন পোর্টালের লিংক পোস্ট করে লেখা হয়েছে, "ফেনীর একই পরিবারের ৩ ব্য,ক্তির হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম গ্র,হণ!"। স্ক্রিনশটে দেখুন--
হুবহু একই শিরোনামে প্রকাশিত ওই খবরটির ডেটলাইন লেখা আছে 1 week ago' এবং বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছে, "'তারা চট্ট,গ্রাম নো,টারি পাবলি,ক কার্যা,লয়ে উ,পস্থিত হয়ে বুধবার ইসলাম ধ,র্ম গ্রহ,ণের ঘো,ষণা দেন।" ডেটলাইনে খবরটির প্রকাশের তারিখ উল্লেখ না থাকায় ধারণা করা যাচ্ছেনা 'বুধবার' বলতে ঠিক কোন তারিখ বা দিনকে বোঝানো হয়েছে। ফলে ফেসবুকে পোস্ট করার দিনক্ষণ ও বিষয়বস্তু দেখে স্বাভাবিকভাবে খবরটি পাঠকের কাছে সাম্প্রতিক মনে হতে পারে।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, খবরটি সাম্প্রতিক নয় বরং ২০২১ সালের। মূলধারার একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নে একই পরিবারের তিন ব্যক্তির ইসলাম ধর্ম গ্রহণের খবরটি ২০২১ সালের।
একাধিক কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে দেখা গেছে, ২০২১ সালে মূলধারার গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। তন্মধ্যে, ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি "ফেনীতে একই পরিবারের ৩ ব্যক্তির ইসলাম গ্রহণ" শিরোনামে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজ২৪ ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়, "ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নে একই পরিবারের তিন ব্যক্তি হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তারা চট্টগ্রাম নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ঘোষণা দেন। তারা হলেন- পাঁচগাছিয়া গ্রামের নাথ বাড়ির বিনোদ বিহারী নাথের মেয়ে খুকু রানী নাথ, তার ছেলে এসকে রনি দাস ও জনি চন্দ্র দাস।" স্ক্রিনশট দেখুন--
জাগো নিউজে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটিকেই সামান্য পরিবর্তনসহ কপি করে, কপিরাইট এড়াতে বাক্য ও শব্দের মাঝে অযাচিত যতি চিহ্ন ব্যবহার করে আলোচ্য অনলাইন পোর্টালতে প্রকাশ করা হয়েছে। অনলাইন পোর্টালের খবর ও মূল খবরের পাশাপাশি স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ খবরটি সাম্প্রতিক নয় বরং ২০২১ সালের।
সুতরাং, এক বছরেরও বেশি সময়ের পুরোনো সংবাদমূল্যহীন একটি খবরকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে নতুন করে প্রকাশ করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।