ইসলামকে শান্তিপূর্ণ ধর্ম হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়ার খবরটি ভুয়া
বুম দেখে ভুয়া খবরটির উৎস ভারতের একটি 'স্যাটায়ার' ওয়েবসাইট। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো বিষয়টি নাকচ করে বিবৃতিও প্রকাশ করেছিল।
সম্প্রতি কিছু ফেসবুক পোস্টে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে যে ইসলামকে বিশ্বের সবচেয়ে শান্তির ধর্ম ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। ভাইরাল হওয়া পুরনো ফেসবুক পোস্টে একটি সার্টিফিকেটও জুড়ে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমও বিষয়টি নিয়ে ২০১৬ সালে সংবাদ প্রকাশ করেছিল।
ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, 'অবশেষে ইসলামকে বিশ্বের সবচেয়ে শান্তির ধর্ম ঘোষণা করল ইউনেস্কো।''
পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
২০১৬ সালের খবর
বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম ২০১৬ সালের জুলাই ও নভেম্বর মাসে যেমন দৈনিক ইনকিলাব, যুগান্তর ও দৈনিক সিলেটের দিনকাল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। বাংলাদেশ ক্রাইম নিউজ গত বছরের মার্চ মাসে একই বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে একটি সার্টিফিকেটও ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু: সিজিএসের রিপোর্ট ভুলভাবে প্রকাশ সংবাদমাধ্যমে
ফ্যাক্ট চেক:
ইউনেস্কো ২০১৬ সালেই এ ব্যাপারে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে খবরটি সত্য নয়।
২০১৬ সালের ৪ জুলাই জুন্টাকারিপোর্টার নামে ভারতভিত্তিক একটি ব্যাঙ্গাত্মক খবরের পোর্টাল 'ইউনেস্কো ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলে ঘোষণা করেছে' বলে ভুয়া সার্টিফিকেট তৈরি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি আর্কাইভ করা আছে এখানে। জুন্টাকারিপোর্টার তাদের ওয়েবসাইটের ঘোষণায় জানিয়েছে যে, এটি একটি স্যাটায়ার বা ব্যাঙ্গের ওয়েবসাইট।
UNESCO denounces fake statement: https://t.co/ccUvV0WVLh pic.twitter.com/XBZX7G24uv
— UNESCO (@UNESCO) July 11, 2016
প্রেস রিলিজে বলা হয়, ''আমরা জুন্টাকা রিপোর্টার নামক একটি ওয়েবসাইটে ইউনেস্কো কর্তৃক ইসলামকে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ধর্মের স্বীকৃতি দেয়ার কথা বলে যে বক্তব্য ও সার্টিফিকেট প্রকাশিত হয়েছে সে ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আমাদের সংস্থা কর্তৃক কখনোই এমন কোন ঘোষণা দেওয়া হয়নি এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সার্টিফিকেটটিও জাল। এ তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইটটি একটি স্যাটায়ার মিডিয়া।''
ওই বিবতিতে আরও বলা হয়, ইউনেস্কোর সঙ্গে ''ইন্টারন্যাশানাল পিস ফাউন্ডেশন'' নামে কোনও সংস্থার কোনও দপ্তরীয় সম্পর্ক ছিলনা, এবং এ ধরনের কোনও বিবৃতি সমর্থন করেনি বা বিবৃতির অধিকার দেয়নি। এখতিয়ারের দিক থেকে এই সংস্থার দায়িত্ব হলো এর সদশ্য দেশগুলি ও সহযোগীর সাথে নিশ্চিতরূপে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে বিভিন্ন ধর্ম এবং সংস্কৃতির মধ্যে কথাবার্তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এটি করতে গিয়ে ইউনেস্কো সমতার ভিত্তিতে সবরকমের আচার ও বিশ্বাস শ্রদ্ধার সঙ্গে উৎসাহিত করে এবং যখনই সম্ভব তাদের মধ্যে সুদৃঢ় সেতুবন্ধন নির্মান করে।''