মহারাষ্ট্রের এক মুরগী খামারি সংক্রান্ত খবরকে বিভ্রান্তিকর শিরোনামে প্রকাশ
একটি পোলট্রি ফার্মের মুরগিকে বিশেষ একটি প্রতিষ্ঠানের খাবার খাওয়ানোর পর মুরগি ডিম দেয়া বন্ধ করে দিলে খামারের মালিক ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ নিয়ে যান।
'ডিম না পাড়ায় মুরগির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ!' এরকম শিরোনামে একটি খবর দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন সহ কয়েকটি পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে। দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকেও খবরটি বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপ থেকে ছড়িয়েছে।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে যে ইত্তেফাক ও অন্যান্য পোর্টালে প্রকাশিত খবরের শিরোনামে 'মুরগীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ' করার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এরকম কিছু ঘটেনি।
এমনকি ইত্তেফাকের শিরোনাম ছাড়া ভেতরের মূল খবরেও এরকম কোন তথ্য নেই। সেখানে বলা হয়েছে-
''ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণেতে। সম্প্রতি ওই পোলট্রি ফার্মের মালিক পুলিশে অভিযোগ জানান একটি বিশেষ সংস্থার তৈরি খাবার খাওয়ার পর থেকেই তার সমস্ত মুরগি ডিম দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ওই ব্যক্তি আরও জানান, আগে পুণের একটি কোম্পানি থেকে মুরগিদের জন্য খাবার কিনলেও সম্প্রতি দাম বাড়ায় পাশের জেলা আহমেদনগরের অন্য একটি সংস্থা থেকে তা কেনেন।
এই প্রসঙ্গে লোনি কালভোর থানার অফিসার রাজেন্দ্র মোকাশি এই প্রসঙ্গে বলেন, "এক পোলট্রি ফার্মের মালিক এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে তিনি একা নন, আরও অন্তত চারজন একই অভিযোগ করেছেন। প্রত্যেকেই বলেছেন ওই সংস্থাটির খাবার খেয়েই তাঁদের মুরগি ডিম দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।"
অর্থাৎ খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য ফার্মের মালিক থানায় যান।
ভারতের এনডিটিভির খবরে এ ব্যাপারে প্রকৃত খবর দেওয়া হয়েছে। দেখুন এখানে।
এনডিটিভির খবরটি অনুযায়ী, শুধু এই ফার্মের মালিকই নন, এরকম আরো চারটি ফার্মের মালিক সেই খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
তবে পোলট্রি মুরগির খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হওয়ায় আর মামলা করা হয়নি।
এ ব্যাপারে আহমেদনগরের এক পশুপালন অফিসার পুলিশকে জানান যে, আসলে কোনো কোনো সময় কিছু খাবারের সাথে মুরগি খাপ খাওয়াতে পারেনা। তখনই মুরগিরা ডিম দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এ ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
এই খবরটি ভারতীয় অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। দেখুন এখানে ও এখানে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে 'মুরগীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ' সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ, ইত্তেফাক এবং বাংলাদেশি অন্যান্য অনলাইন পোর্টালের প্রতিবেদনের শিরোনামটি ছিলো বিভ্রান্তিকর।