রিকশাচালকের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনাটি ২০২০ সালের
২০২০ সালের একাধিক সংবাদমাধ্যমে খোকন মিয়া নামের একজন অটোরিকশা চালকের ফোয়ারার পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল।
ফেসবুকে একটি ভাইরাল পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, এই লকডাউনে শেরপুরে একজন অটোরিকশা চালক বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। দেখুন এমন কিছু পোস্ট এখানে, এখানে এবং এখানে।
গতকাল(২২ এপ্রিল) 'ভিপি নুরুল হক নুর' নামের গ্রুপে একটি পোস্ট করা হয় যেখানে দাবি করা হয়, শেরপুরের খোকন নামের একজন রিকশাচালকের সিট পাশ্ববর্তী ফোয়ারায় ফেলে দেয় এক ট্রাফিক পুলিশ। পরবর্তীতে সেটি আনতে ফোয়ারায় নামলে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান সে রিকশাচালক। পোস্টটির সাথে একটি ছবি যুক্ত করা হয়েছে যেখানে একটি শাপলার ফোয়ারার নিচে একটি লাশ দেখা যাচ্ছে এবং চারিদিকে মানুষ ভীড় করছে। দেখুন পোস্টটির একটি স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, পোস্টে দাবিকৃত তথ্যটি সত্য তবে ঘটনাটি সাম্প্রতিক লকডাউনের নয়। এমনকি ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টটিও সর্বপ্রথম ২০২০ সালে পোস্ট করা হয়। Ahsan Habib নামক একটি আইডি থেকে পোস্টটি করা হয় যেটি নতুন করে ২০২১ সালে ভাইরাল করা হচ্ছে। দেখুন ২০২০ সালের ১৬ মে'র সেই পোস্টটি--
এছাড়া ২০২০ সালে ঘটা এই ঘটনাটি তখন মূলধারার একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। এ সংক্রান্ত প্রথম আলো পত্রিকার ২০২০ সালের ১৫ মে'র একটি প্রতিবেদনমতে, শেরপুর জেলা শহরের নওহাটা খোয়ারপাড় এলাকা ফোয়ারার পানিতে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মো. খোকন মিয়া (২৫) নামে এক রিকশাচালক নিহত হন। প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি দেখুন--
এছাড়া পরের দিন সময় টিভি অনলাইনেও খবরটি প্রকাশ করা হয়। দেখুন--
অর্থাৎ ২০২০ সালের ঘটনাকেসামাজিক মাধ্যমে সাম্প্রতিক লকডাউনের খবর হিসেবে দাবি করা হচ্ছে যা অনেককে বিভ্রান্ত করতে পারে।