অভিনেত্রী তিশাকে নিয়ে পুরোনো খবর বিভ্রান্তিকরভাবে পুনঃপ্রকাশ
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ২০২১ সালে তিশাকে নিয়ে খবরটি প্রকাশিত হয় এবং ২০২২ সালে এই অভিনেত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে একাধিক অনলাইন পোর্টালের লিংক পোস্ট করে, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার সন্তান না হওয়ার কারণ জানালেন মর্মে একটি খবর প্রচার করা হচ্ছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৪ মার্চ 'Kawsar সরকার' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে অখ্যাত অনলাইন পোর্টালের লিংক পোস্ট করে লেখা হয়েছে, "বিয়ের ১০ বছরেও স'ন্তান না হওয়ার কারন জানালেন তিশা!"। স্ক্রিনশটে দেখুন--
হুবহু একই শিরোনামে প্রকাশিত ওই খবরটির ডেটলাইন লেখা আছে '1 week ago' এবং বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছে, "'আমাদের শোবিজে বহুল আ'লোচিত দুই নাম। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী''' ও নুসরাত ইম'রোজ তিশা। একজন নির্মাতা, অন্যজন অ'ভিনেত্রী। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। তারপর ফের দুজনেই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সুখের সংসারে কখনো কোন খা'রাপ সংবাদ আসেনি। তবে সুসংবাদও আসেনি। তাদের সংসারের সবচেয়ে বড় সুসংবাদ হতে পারতো নতুন অ'তিথির আগমন। তা হলো না। খুব শীঘ্রই এমন কোন সিদ্ধান্তে তাঁরা পৌছাবে বলেও মনে হয় না।" ফেসবুকে পোস্ট করার দিনক্ষণ ও বিষয়বস্তু দেখে স্বাভাবিকভাবে খবরটি পাঠকের কাছে সাম্প্রতিক মনে হতে পারে।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, খবরটি সাম্প্রতিক নয় বরং ২০২১ সালের। আবার, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, অর্থাৎ খবরটি অপ্রাসঙ্গিকভাবে পুনঃপ্রকাশ করা হয়েছে।
খবরটি কপি করা
কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করার পর, ডেইলি বাংলাদেশ নামের একটি অনলাইন পোর্টালে "বিয়ের ১০ বছর, সন্তান না হওয়ার কারণ জানালেন তিশা" শিরোনামে ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল প্রকাশিত প্রতিবেদনটি খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, "বহুল আলোচিত এক দম্পতি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। একজন নির্মাতা, অন্যজন অভিনেত্রী। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতেই আবারো কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাদের সুখের সংসারে কখনো কোনো খারাপ সংবাদ আসেনি। তবে সুসংবাদও আসেনি। তাদের সংসারের সবচেয়ে বড় সুসংবাদ হতে পারতো নতুন অতিথির আগমন। খুব শীঘ্রই এমন কোনো সিদ্ধান্তে তারা পৌছাবে বলেও মনে হয় না।"
২০২১ সালের এই প্রতিবেদনে অভিনেত্রী তিশার সন্তান না হওয়ার কারণ সংক্রান্ত তথ্য দেয়ার দাবি করা হচ্ছে।
ডেইলি বাংলাদেশে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটিকেই সামান্য পরিবর্তনসহ কপি করে আলোচ্য অনলাইন পোর্টালতে প্রকাশ করা হয়েছে। অনলাইন পোর্টালের খবর ও মূল খবরের পাশাপাশি স্ক্রিনশট দেখুন--
কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন তিশা
আবার অপ্রাসঙ্গিকভাবে পুনঃপ্রকাশ করা খবরটিও বিভ্রান্তিকর। মূলত চলতি বছর জানুয়ারি মাসে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে গত ৫ জানুয়ারি প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবরের স্ক্রিনশট দেখুন--
সুতরাং পুরোনো একটি প্রতিবেদনকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে নতুন খবর হিসাবে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।