টিকটকের এডিট করা ভিডিও নিয়ে ক্লিকবেইট শিরোনাম সংবাদমাধ্যমে
টিকটকে তৈরি ভিডিও নিয়ে এমনভাবে খবরের শিরোনাম করা হয়েছে যাতে পাঠক তাতে ক্লিক না করলে প্রতৃক তথ্য পাবেন না
''এবার সমুদ্রের বুক থেকে বেরিয়ে আসছে দানবীয় এক সাপ, ভিডিও ভাইরাল'' এরকম শিরোনামে একটি খবর কিছু অনলাইন পোর্টালে ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে। খবরের সাথে সংযুক্ত ছবিতে একটি জনাকীর্ণ সমুদ্র তীর এবং সমুদ্রে ভাসমান বিশাল আকৃতির একটি সাপ দেখা যাচ্ছে।
যদিও সবগুলো পোর্টালেরই মূল খবরে বলা হয়েছে- ''অদ্ভুত সব ভিডিওর দেখা মিলে খুদে ভিডিও প্রকাশের অ্যাপ টিকটকে। অনেক সময় এসব ভিডিও দেখে বিশ্বাস করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এবার চীনা অ্যাপটিতে এমন এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা বানানো হলেও সবার কাছে সত্যি বলে মনে হবে।
ভিডিওটির প্রথম দেখায় যে কেউ ঘাবড়ে যেতে পারেন। দেখা যাচ্ছে সমুদ্রের পেট থেকে উঠে এসেছে এক অতিকায় সাপ।-খবর এনডিটিভির
তাকে দেখতে সমুদ্রের পাড়ে ভিড় জমিয়েছেন অগণিত মানুষ। প্রথমে মনে হবে, বুঝি সত্যিই এক আশ্চর্য প্রাণী এসে পড়েছে মানব সমাজে।
কিন্তু একটু খেয়াল করে দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যায়, এটি আসলে সম্পাদনা করে বানানো।''
এরকম একটি খবর আর্কাইভ করা আছে এখানে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, হুবহু এরকম ভাষ্যে একটি খবর একই শিরোনামে এবছরের ২২ জানুয়ারী যুগান্তরের অনলাইনে প্রকাশিত হয়। দেখুন এখানে। মূলত একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও এডিট করে আপলোড করা হয় যেখানে সমুদ্র তীরে উতসুক মানুষের ভীড় ও বিপরীত দিকে একটি দৈত্যাকৃতির সাপ ফনা তুলে দাড়িয়ে আছে দেখা যায়। ভিডিওটি কয়েক কোটি মানুষ দেখেছেন।
যুগান্তর সেসময় খবরের সূত্র হিসেবে ভারতের এনডিটিভির কথা উল্লেখ করে। গুগল অনুসন্ধানে এনডিটিভির সেই প্রতিবেদনটি পাওয়া যায়। দেখুন এখানে। তবে এনডিটিভি তাদের শিরোনামে টিকটকের কথা উল্লেখ করলেও যুগান্তর ও অন্যান্য পোর্টালের শিরোনাম দেখলে মনে হবে বাস্তবেই এরকম ঘটনা ঘটেছে।
সুতরাং বিনোদনের উদ্দেশ্যে সম্পাদিত একটি ভিডিও ক্লিপের উপর ভিত্তি করে এরকম শিরোনামে খবর পরিবেশন পাঠকদের জন্য বিভ্রান্তিকর।