মামুনুল হকের ঘটনা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা

প্রথমত: ভিডিওর বক্তা দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে মামুনুল হকের সাথে সেদিন রিসোর্টে তোলা নারীর ছবি এবং সেদিনই সামাজিক মাধ্যমে আসা একই নারীর একটি ভিডিওতে দৃশ্যমান নারীর বোরকার রং এক নয়। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, ভিডিওতে বক্তব্য দেয়া নারী মামুনুল হকের সেই স্ত্রী নন যাকে নিয়ে তিনি রিসোর্টে উঠেছিলেন। বরং 'চক্রান্ত করে' মামুনুল হককে ফাঁসানোর জন্য অন্য নারীর কথা ভিডিও রেকর্ড করে ছড়ানো হয়েছে। এর সাথে যুক্তি হিসেবে তিনি এই নারীর হাতের নখের সাইজ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

দ্বিতীয়ত: ভিডিওতে স্বপন আহমেদ দাবি করেছেন যে, যেহেতু যে কারো অডিও নকল করে ভুয়া কল রেকর্ড বানানো যায় সুতরাং সংবাদমাধ্যমে আসা কল রেকর্ডও মামুনুলের নয়।

বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে যে, স্বপন আহমদের দ্বিতীয় দাবিটি ভুয়া। এবং প্রথম দাবিটিও তিনি প্রামাণ্যভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন নি।

প্রথমত: বোরকার রং এবং হাতের নখ লম্বা- এই যুক্তি দিয়ে যেভাবে ভিডিওটিতে স্বপন আহমেদ দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে, ঘটনার দিন মামুনুল হকের সাথে থাকা নারী আর সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাওয়া নারী এক নয় তা কোনো অকাট্য প্রমাণ নয়। গাঢ় নীল রং অপেক্ষাকৃত কম আলোতে কালো দেখায়। আর মামুনুলের স্ত্রীর হাতের নখ লম্বা হতে পারে না- এমন অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা কোনো প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে না।

দ্বিতীয়ত: সংবাদমাধ্যমে আসা কল রেকর্ডগুলোকে ভিডিওটির বক্তা মামুনুলের নয় বলে দাবি করলেও মামুনুল হক নিজেই ফেসবুক লাইভে স্বীকার করেছেন যে কল রেকর্ডগুলো তারই। সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশিতও হয়েছে। দেখুন এখানে ও এখানে।