উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে নিয়ে কালবেলার ফটোকার্ডটি নকল
আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে বুম বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছে কালবেলার অনলাইন বিভাগের সম্পাদক পলাশ মাহমুদ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি, পেজ ও গ্রুপ থেকে জাতীয় দৈনিক কালবেলার একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হচ্ছে। যেখানে বলা হয়, অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে পর্দা করতে বললেন ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিব। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর 'বাংলাদেশি' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ফটোকার্ডটি পোস্ট করে লেখা হয়, "আমাদের হুজুরের কান্ড দেখেন? নারী দেখলেই চুলকানি উঠে কেনো?" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি নকল। দৈনিক কালবেলার অলনাইন বিভাগের সম্পাদক পলাশ মাহমুদ আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে নিশ্চিত করেছে।
কি-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করে আলোচ্য দাবির প্রেক্ষিতে কোনো তথ্য বা প্রতিবেদন কালবেলার ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া ক্রিকেটার তানজিম সাকিব বর্তমান সরকারের একজন উপদেষ্টাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করে থাকলে তা সংবাদমাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই প্রকাশিত হত। কিন্তু নানাভাবে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচ্য দাবির পক্ষে অন্যকোনো গণমাধ্যমেও কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ‘কালবেলার’ ফেসবুক পেজে সৈয়দ রিজওয়ানা হাসানের ছবিসহ একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। যেই ছবিটি তানজিম সাকিবের কথিত বক্তব্য সংবলিত ফটোকার্ডটিতেও একই ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে আলাদাভাবে তানজিম সাকিবের ছবি যুক্ত করা হয়েছে।
নিচে ভাইরাল ছবি (ডানে) ও কালবেলার ফেসবুক পেজে পাওয়া অরিজিনাল ছবি (ডানে) দেখুন পাশাপাশি--
অর্থাৎ ধারণা করা যাচ্ছে, কালবেলার উপরের (ডানপাশে) ফটোকার্ডটিকে এডিট করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে আলোচ্য ফটোকার্ডের বিষয়ে নিশ্চিত হতে বুম বাংলাদেশের পক্ষ হতে সংবাদপত্রটির অনলাইন বিভাগের প্রধান পলাশ মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আলোচ্য ফটোকার্ডটি ফেইক বলে জানান।
অর্থাৎ ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিব অন্তরবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসানকে পর্দা করার ব্যাপারে কোনো পরামর্শ দেননি। এ সংক্রান্ত কালবেলার লোগো ব্যবহার করে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ফেক।
সুতরাং কালবেলার লোগোযুক্ত ফটোকার্ড বিভ্রান্তিকর দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে।