শিবির নেতার বরাতে এমন ফটোকার্ড প্রচার করেনি যমুনা টিভি
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, যমুনা টিভির ফরম্যাটে তৈরিকৃত আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের নয় বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যমুনা টেলিভিশনের একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হচ্ছে। এতে বলা হচ্ছে, গণমাধ্যমটি "ঢাবি ছাত্র শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেছেন, শিবির যাদের রগ কেটেছে তারা কেউ ঈমানদার ছিলো না, কেউ ঈমান আনলে আমরা তার রগ কাটিনা" শিরোনামে একটি সংবাদের ফটোকার্ড প্রচার করেছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ৩ নভেম্বর ‘Atif Anamul’ নামক অ্যাকাউন্ট থেকে ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, “শিবির যে রগ কাটে এটা তাহলে তারা স্বীকার করে নিলো ......”। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয় এবং ফটোকার্ডটি সম্পাদিত। বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের ফটোকার্ড ফরম্যাট ব্যবহার করে এটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের তৈরি করা নয় বলে গণমাধ্যমটি নিশ্চিত করেছে।
সার্চ করে দাবি অনুযায়ী শিরোনামের কোনো ফটোকার্ড যমুনা টেলিভিশনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পাওয়া যায়নি। এমনকি সার্চ করে যমুনা সহ কোনো গণমাধ্যমের কোনো সংস্করণেই আলোচ্য দাবি সংক্রান্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে গণমাধ্যমটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ৩ নভেম্বর আলোচ্য ফটোকার্ডটির বিষয়ে 'যমুনা টিভি এমন কোনো সংবাদ প্রচার করেনি; গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না' লেখা তথ্য সহ একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ আলোচ্য ফটোকার্ডটি যমুনা টেলিভিশনের ফটোকার্ড ফরম্যাট ব্যবহার করে সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও একই দাবিতে ফটোকার্ডটি ছড়িয়ে পড়লে গত ৮ অক্টোবরও বিষয়টি নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছিল যমুনা টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ। এক ফেসবুক পোস্টে গণমাধ্যমটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ফটোকার্ডটি তাদের তৈরি করা নয়।
সুতরাং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যমুনা টেলিভিশনের ফটোকার্ড ফরম্যাট সম্পাদনা করে ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।