রামমন্দির উদ্বোধনের দিনকে জাতীয় উৎসব হিসেবে ঘোষণা করেনি ইসরায়েল
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ভারতের ইসরায়েলি দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ দাবিকে মিথ্যা বলে জানানো হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক গ্রুপ ও পেজ থেকে একটি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে রামমন্দির উদ্বোধনের দিনকে (২২ জানুয়ারী) জাতীয় উৎসব ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৩ জানুয়ারি 'সনাতনী ছেলে মেয়েদের মিলন মেলা (Hindu Boys And Girls Love Zon)' নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে 'Shanto Sinha' নামের একাউন্ট থেকে পোস্ট করে লেখা হয়, "ইসরাইল রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন ২২ জানুয়ারীকে একটি জাতীয় উৎসব ঘোষণা করেছে গর্বের সাথে বলো- জয় শ্রী রাম।" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। ভারতীয় ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোতে এই দাবির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ভারতের ইসরায়েলি দূতাবাসের পক্ষ থেকে আলোচ্য দাবিটিকে মিথ্যা বলে জানানো হয়েছে।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ভারতের ইসরায়েলি দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত 'Naor Gilon' এর টুইটার অ্যাকাউন্টে থেকেও এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা 'বুম লাইভ' -এ গত ১৮ জানুয়ারি "False Claims Of Israel Declaring Public Holiday On January 22 Viral" শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফ্যাক্ট-চেক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি ফ্যাক্টচেকারদের সাথে যোগাযোগ করে এ দাবির (জাতীয় উৎসব বা হলিডে ঘোষণা) পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি (অনূদিত)। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়াও কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা 'Logically Facts' -এ গত ১৯ জানুয়ারি "No, Israel hasn't declared a holiday on Jan 22 to mark Ram temple consecration" শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, "ইসরায়েল ২২ জানুয়ারিকে হলিডে বা জাতীয় উৎসব হিসেবে কোনো ঘোষণা দেয়নি (অনূদিত)।"
অর্থাৎ ভারতে রামমন্দির উদ্বোধনের দিনকে (২২ জানুয়ারি) জাতীয় উৎসব হিসেবে ঘোষণা দেয়নি ইসরায়েল।
সুতরাং ফেসবুকে ভারতে রামমন্দির উদ্বোধনের দিনকে ইসরায়েল জাতীয় উৎসব হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।