মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ সংক্রান্ত ভুয়া খবর প্রচার
পুরনো একটি খবরের দিন-তারিখ, স্থান ও অভিযুক্তের নাম বদলে খবরে ব্যবহার করা হয়েছে মাওলানা মামুনুল হকের নাম
"হেফাজত নেতা মুফতী মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ" শিরোনামে একটি খবর কিছু অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে। তেমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
উপরের প্রতিবেদনগুলো ১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে প্রকাশিত হলেও এর আগে গত ১৩ নভেম্বর prothomalo100.blogspot.com নামে একটি ব্লগে প্রথম এই খবরটি প্রকাশিত হয় একই শিরোনামে। দেখুন এই লিংকে।
এসব খবর ফেসবুকে অনেকে শেয়ার করেছেন। দেখুন নিচের স্ক্রিনশটে--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ আলোচ্য খবরটি যাচাই করে দেখেছে এটি বানোয়াট।
মূলত চলতি বছরের ৬ অক্টোবর বাংলাট্রিবিউনে প্রকাশিত ভিন্ন একটি খবরের দিন-তারিখ, স্থান ও অভিযুক্তের নাম ইত্যাদি বদলে মাওলানা মামুনুল হকের নাম জুড়ে দেয়া হয়েছে।
বাংলাট্রিবিউনের "মাদ্রাসা ছাত্রকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বলাৎকার করতেন শিক্ষক" শিরোনামের প্রতিবেদনের প্রথম প্যারায় বলা হয়েছে--
"'শিক্ষক আমাকে ১৫ দিন ধরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বলাৎকার (ধর্ষণ) করতো। অনেক সময় বাসায় চলে যেতে চাইলে ভয়ভীতি দেখাতো। এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে মানাও করতো।' নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে ১১ বছর বয়সের এক ছাত্র আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।"
এই প্যারার কিছু তথ্য বদলে ভুয়া খবরটিতে লেখা হয়েছে--
"'বড় হুজুর আমাকে ১৫ দিন ধরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বলাৎকার (ধর্ষণ) করতো। অনেক সময় বাসায় চলে যেতে চাইলে ভয়ভীতি দেখাতো। এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে মানাও করতো।' ঢাকার জামেয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদিসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে ১১ বছর বয়সের এক ছাত্র আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।"
নিচের দুটি স্ক্রিনশটে দেখুন মূল খবর এবং বানোয়াট খবরটির তুলনামূলক উপাস্থাপনা--
স্ক্রিনশট-১:
স্ক্রিনশট-২:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল্লাহ কর্তৃক ছাত্র বলৎকারের খবর সংক্রান্ত প্রতিবেদন বাংলাট্রিবিউনের পাশাপাশি অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে অক্টোবর মাসে। এখানে দেখুন সময় টিভি ও ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদন।