ভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গাড়ি ভাঙচুরকারী বলে প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, অস্ত্র নিয়ে টিকটক ভিডিও করে আপলোড করায় ছবিতে দৃশ্যমান দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হচ্ছে যেখানে বলা হচ্ছে, অবরোধে গাড়ি ভাঙচুর করায় দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ৮ নভেম্বর 'আসাদুজ্জামান নাঈম' নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করে বলা হয়, "দুই ছাত্রলীগ- কর্মী আটক! অবরোধ ডাকে বিএনপি আর গাড়ি ভাংচুর করে আমুলীগ, ছাত্রলীগ- আর মামলা হয় জামাত বিএনপির উপরে"। পোস্টকৃত ছবিতে লেখা থাকতে দেখা যায়, "অবরোধে গাড়ি ভাঙচুর, দুই ছাত্রলীগ কর্মী আটক"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ছবিতে দৃশ্যমান দু'জন ব্যক্তিকে অস্ত্র নিয়ে ভিডিও তৈরি করে টিকটকে আপলোড করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অবরোধে গাড়ি ভাঙচুরের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই।
আলোচ্য ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ওয়েবসাইটে "রাজশাহীতে অস্ত্র নিয়ে টিকটক ভাইরাল, আটক ২" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজশাহীতে দেশি অস্ত্রহাতে ভিডিও করে তা টিকটকে প্রচারের সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়াও, বাংলাদেশ প্রতিদিন এবং যমুনা টিভির অনলাইন ভার্সনেও একই দাবিতে উক্ত দুই ব্যক্তির আলোচ্য ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।
অর্থাৎ অস্ত্র হাতে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে টিকটক প্ল্যাটফর্মে আপলোড করায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়, অবরোধে গাড়ি ভাঙচুরের সাথে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই কিংবা তারা ছাত্রলীগ কর্মী এমন কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি।
সুতরাং ভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার দুই ব্যক্তির ছবি দিয়ে, তারা অবরোধে গাড়ি ভাঙচুরের সাথে জড়িত ও ছাত্রলীগ কর্মী বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।