প্রথম আলোর এক নারী সাংবাদিকের বরাতে প্রচারিত উক্তিটি সঠিক নয়
এরকম কোনো মন্তব্য তিনি করেননি বলে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আখতার নিজেই বুম বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি থেকে দৈনিক প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমটির একজন নারী সাংবাদিকের মন্তব্যসহ একটি গ্রাফিক কার্ড শেয়ার করা হচ্ছে, দাবি করা হচ্ছে প্রথম আলোর সাংবাদিক নাজনীন আখতার এমনটি বলেছেন। তবে মন্তব্যটির কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি ফেসবুকে করা পোস্টগুলোতে। এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৩ এপ্রিল "সফল হওয়া মানুষের গল্প" নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গ্রাফিক কার্ডটি পোস্ট করা হয়েছে যাতে লেখা রয়েছে, "সুন্দরী সহকর্মীদের গাল রগড়ে আদর করে দেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ।- নাজনীন আক্তার তন্বী, নারী সাংবাদিক, প্রথম আলো "। স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আখতারের নামে ফেসবুকে যে মন্তব্যটি প্রচার করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।
প্রথমত, একাধিক পদ্ধতিতে সার্চ করার পরও এরকম কোনো মন্তব্য সামাজিক মাধ্যম বা সংবাদমাধ্যম কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, ফেসবুক পোস্টগুলোতে সাংবাদিকের নামের বানানেও ভুল করা হয়েছে, ঐ সাংবাদিকের নাম 'নাজনীন আক্তার' নয় বরং তার নাম 'নাজনীন আখতার'। আবার আলোচ্য ফেসবুক পোস্টগুলোতে উক্তিটির কোনো সূত্রও উল্লেখ নেই।
দ্বিতীয়ত, বুম বাংলাদেশ সরাসরি নাজনীন আখতারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফের বিরুদ্ধে আমার নামে নারী-অবমাননাকর এক মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে কার্ড বানিয়ে কে বা কারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এ ধরণের কোনো মন্তব্য আমি কখনোই করিনি। এমন হীন ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"
অর্থাৎ যেমনটি আলোচ্য ফেসবুক পোস্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদককে নিয়ে এমন কোনো মন্তব্য নাজনীন আখতার করেননি।
সুতরাং প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আখতারের বরাতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত উক্তিটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।