সার্জিস ও লুবাবাকে নিয়ে যমুনা টিভির লোগোসহ ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে জানিয়েছে যমুনা টেলিভিশন।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড শেয়ার করা হচ্ছে। ফটোকার্ডটিতে শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবার বরাতে লেখা থাকতে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সার্জিস আলম তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২০ নভেম্বর 'Criminals- DU' নামে একটি ফেসবুক পেজে বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড শেয়ার করা হয়। ফটোকার্ডটিতে প্রয়াত মঞ্চ ও ছোট পর্দার অভিনেতা আবদুল কাদেরের নাতনি এবং সম্প্রতি ক্যামেরার সামনে বিভিন্নধরণের কথা বলে আলোচিত-সমালোচিত শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবার বরাতে লেখা হয়েছে, “সমন্বয়ক সার্জিস আলম আমাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে।” ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি আসল নয় বরং নকল। যমুনা টেলিভিশনের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মুরশিদুজ্জামান হিমু আলোচ্য ফটোকার্ডটি নকল বলে বুম বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে "সমন্বয়ক সার্জিস আলম আমাকে ফেসবুক বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে।-সিমরিন লুবাবা"-এই শিরোনামের কোনো সংবাদ যমুনা টিভি সহ অন্য কোনো গণমাধ্যমেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে, যমুনা টেলিভিশনের ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলে কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও আলোচ্য বক্তব্য দেওয়ার কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি, সিমরিন লুবাবার ফেসবুক পেজেও এরকম কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, আলোচ্য ফটোকার্ডটি ছড়িয়ে পড়লে ফতোকার্ডটি যমুনা টেলিভিশনের বানানো কি না জানতে টেলিভিশনটির সাথে যোগাযোগ করে বুম বাংলাদেশ। যমুনা টেলিভিশনের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মুরশিদুজ্জামান হিমু আলোচ্য ফটোকার্ডটি তাদের বানানো নয় বলে নিশ্চিত করেন।
অর্থাৎ আলোচ্য ফটোকার্ডটি যমুনা টেলিভিশনের তৈরি করা নয়। যমুনা টেলিভিশনের লোগো যুক্ত করে এডিটের মাধ্যমে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া, সিমরিন লুবাবার বলা এমন কোনো কথা বা বক্তব্য অন্য কোনো মাধ্যমেও খোঁজ করে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং যমুনা টেলিভিশনের লোগো ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য সহ ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে।