আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে আরটিভির লোগো বসিয়ে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার
আরটিভির ফটোকার্ডের আদলে তৈরি আলোচ্য ফটোকার্ডটি নকল এবং তাদের তৈরি করা নয় বলে গণমাধ্যমটি নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দৃশ্যত বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম আরটিভি'র একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হচ্ছে যেখানে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কলকাতায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের গোপনাঙ্গ পাওয়া গেছে বহুল আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার শিলাস্তির বাসায়। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২ জুন 'Younus Faruk Rony' নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ফটোকার্ড পোস্ট করে লেখা হয়, "অনেক খুঁজাখুঁজির পর আনারের গোপনাঙ্গ পাওয়া গেছে শিলাস্তির বাসায়, কথা হচ্ছে কি ওর শরীরের এত গুলো অংশ থাকার পরও এই অংশ কেন ওর বাসায়?"। সম্প্রচার মাধ্যম আরটিভি'র লোগো যুক্ত আলোচ্য ফটোকার্ডে লেখা থাকতে দেখা যায়, "আনারের গো'প'না'ঙ্গ পাওয়া গেছে শিলাস্তির বাসায়"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি ভিত্তিহীন। ফটোকার্ডটি বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম আরটিভি'র তৈরি করা নয় বলে গণমাধ্যমটি নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট করে নিশ্চিত করেছে। আরটিভি'র লোগো সহ ফটোকার্ডের ফরম্যাট ব্যবহার করে সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচ্য ফটোকার্ডটি মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
আলোচ্য ফটোকার্ডটিতে প্রকাশের তারিখ দেখা যায় গত '১ জুন'। এই সূত্র ধরে আরটিভির অফিশিয়াল ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সার্চ করে গত ১ জুন প্রকাশিত এমন তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি। এমনকি এ সংশ্লিষ্ট কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে আরটিভি সহ কোনো গণমাধ্যমেই এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, আরটিভির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সার্চ করে ৩ জুন প্রকাশিত এ সংক্রান্ত ভিন্ন একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে আলোচ্য ফটোকার্ডটিকে আরটিভির তৈরি করা নয় বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। আরটিভির ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়া আলোচ্য ফটোকার্ডের ডিজাইন আরটিভির মত হলেও লেখার ফন্ট আরটিভির ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের থেকে ভিন্ন। আলোচ্য ফটোকার্ডটি (বামে) ও আরটিভির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের একটি ফটোকার্ডের (ডানে) পাশাপাশি তুলনা দেখুন--
অর্থাৎ আরটিভি'র ফটোকার্ড নকল করে ভুয়া তথ্য যুক্ত করে আলোচ্য ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে আরটিভি'র নকল ফটোকার্ড বিভ্রান্তিকর দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।