চাকরির সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিভ্র্রান্তিকর খবর প্রচার
সময় টেলিভিশনে এমন খবর প্রকাশিত হয়নি বলে নিশ্চিত হয়েছে বুম বাংলাদেশ; এমন সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ও।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি দাবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে বলা হচ্ছে, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেখুন এমন কিছু পোস্ট এখানে, এখানে এবং এখানে।
আজ (২৫ জুন) 'NTRCA শিক্ষক নিবন্ধন' নামক একটি পেজে দেয়া পোস্টে দাবি হয়, "চাকরির বয়স বাড়ানোর সিন্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী"। পোস্টটির শুরুতে 'ব্রেকিং নিউজ' উল্লেখ করে শেষে সুত্র হিসেবে সময় টিভির নাম উল্লেখ করা হয়। দেখুন সেই পোস্টের স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, খবরটি বিভ্রান্তিকর। প্রথমত, চাকরির বয়স বাড়ানোর দাবির পক্ষে সুত্র হিসেবে সময় টিভিকে উল্লেখ করা হলেও সময় টিভির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে গত ১৫ ঘন্টায় এমন কোনো খবর প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া সময় টিভি অনলাইনের ওয়েবসাইটেও খোঁজ করে এমন কোন খবর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সময় টিভির যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও অনলাইন বিভাগের ইনচার্জ পলাশ মাহমুদ বুম বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেন, তাদের সম্প্রচার কিংবা অনলাইন কোন মাধ্যমেই এমন কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি।
দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী প্রকৃতপক্ষে এমন ঘোষণা করলে সেটি মূলধারার অন্যান্য সব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হত। কিন্তু খোঁজ করেও কোনো সংবাদমাধ্যমে গত ২৪ ঘন্টায় এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের বিজ্ঞপ্তি বিভাগেও এ ধরণের কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি।
খবরটির বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার স্বার্থে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে বুম বাংলাদেশ। পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি করার কোনো সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত হয়নি। যারা ফেসবুকে এটি লিখেছেন, তারা তা ব্যক্তিগতভাবে লিখেছেন।
অর্থাৎ এই নিবন্ধ লেখা এবং প্রকাশ করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত কোন খবর পাওয়া যায়নি।