তসলিমা নাসরিনের মৃত্যুর ভুয়া সংবাদ ফেসবুকে
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ক্যাপশনে তসলিমা নাসরিনের মৃত্যুর কথা লেখা হলেও মূল খবরের ওয়েবসাইটে বিষয়বস্তু ফাঁকা।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে অখ্যাত একটি অনলাইনের লিংক পোস্ট করে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন মারা গেছেন। এরকম একটি পোস্ট দেখুন এখানে।
গত ৬ জানুয়ারি 'অন্তরা আক্তার ✅' নামে একটি পাবলিক ফেসবুক গ্রুপে 'Rajib Gazi' নামে একটি আইডি থেকে অখ্যাত একটি অনলাইনের লিংক পোস্ট করে বলা হয়, "না ফে'রার দে'শে চলে গে'লেন তসলি'মা নাস'রিন …… বিস্তারিত ভিতরে 👇" । খবরের লিংকটিও হুবহু একই শিরোনামে প্রকাশ করতে দেখা যায়। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। পোস্টের ক্যাপশনে ও খবরটির শিরোনামে তসলিমা নাসরিনের মৃত্যুর কথা লেখা হলেও ওয়েবসাইটের ভিতরে মূল খবরের বিষয়বস্তুর অংশটি ফাঁকা দেখা যায়।
আলোচ্য ফেসবুক পোস্টটির সাথে যুক্ত সংবাদটির লিংকে ঢুকে দেখা যায়, লিংকটি সম্পূর্ণ ফাঁকা। স্ক্রিনশট দেখুন---
এদিকে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে তসলিমা নাসরিন সংক্রান্ত সর্বশেষ সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়, যা গত ১৯ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। দৈনিক পত্রিকা মানবজমিনের ওয়েবসাইটে 'চিকিৎসকের ভুলে তসলিমা নাসরিন প্রায় পঙ্গু, নিজেই জানালেন সে কথা' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "শল্য চিকিৎসকের ভুলে বাংলাদেশের বিতর্কিত এবং দেশ থেকে নির্বাসিত বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিন প্রায় পঙ্গু হয়ে গেছেন। তসলিমা নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। তার শল্য চিকিৎসক হিপ রিপ্লেসমেন্ট করতে গিয়ে ভুল অপারেশন করে তাকে শয্যাশায়ী করে দিয়েছে।" স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়াও, তসলিমা নাসরিনের ভেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্টে গিয়ে দেখা যায় কয়েক ঘন্টা আগে তার সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টটি করা হয়েছিল। বইমেলা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি পোস্টটি করেন। দেখুন--
এদিকে, নানাভাবে কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও তসলিমা নাসরিনের মৃত্যুর কোনো সংবাদ গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদিও নির্বাসিত এই লেখিকার মৃত্যু হলে স্বাভাবিকভাবেই গণমাধ্যমে খবর হওয়ার কথা।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের বির্তকিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন দীর্ঘদিন ধরে দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে কলকাতায় বসবাস করছেন।
অর্থ্যাৎ তসলিমা নাসরিনের অসুস্থতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁর মৃত্যুর ভুয়া খবর প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।