ফেক নিউজ
বিদ্যুত বিল মওকুফের ভুয়া খবর
ফেসবুকে ছড়ানো ভুয়া খবরটি দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশিত হলেও এখনও তা অনেকে শেয়ার করছেন।
"৩ মাসের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করেছে সরকার: বিদ্যুৎ সচিব" শিরোনামে একটি খবর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়েছে। মূলত একটি অনলাইন পোর্টাল এনটিএনবিডি ডটনেট থেকে খবরটি ছড়ানো হয়েছে। ফেসবুকে আরটিনিউজ২৪ নামক একটি পেজ থেকে তা হাজারের উপরে শেয়ার হয়েছে।
খবরটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
গত ৫ জুলাই খবরটি প্রথম আপলোড করা হলেও গত কয়েকদিন পর্যন্ত এটি ফেসবুকে অনেকে শেয়ার করেছেন।
উক্ত খবরটির শিরোনামে বিদ্যুৎ সচিবের বরাত দিয়ে "৩ মাসের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ" করার কথা থাকলেও খবরের ভিতরে এ সংক্রান্ত কোন তথ্যই পাওয়া যায়নি। খবরটি মূলত মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্বাভাবিক বিদ্যুত বিল আসা নিয়ে। এতে বলা হয়েছে অস্বাভাবিকভাবে আসা অতিরিক্ত বিদ্যুত বিল গ্রাহকদের দিতে হবে না এবং ভুতুড়ে বিল আসার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মচারীর শাস্তির সুপারিশের খবর রয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উক্ত খবরটি মূলত সময় টিভি অনলাইনের একটি খবর থেকে হুবহু কপি করা। সময় টিভির খবরটি দেখুন এখানে।
সময় টিভির খবরটির শিরোনাম হলঃ "অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে না: বিদ্যুৎ সচিব"।
খবরটিতে বলা হয়ঃ
"ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দেশের চার বিতরণ সংস্থার ২৯০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর শাস্তির সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। রোববার (০৫ জুলাই) দুপুরে বিলের অনিয়ম নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ।
তিনি দাবি করেন, কোনো গ্রাহককেই অতিরিক্ত বিল দেয়ার বিড়ম্বনা সইতে হবে না। জানান, রিডিং ছাড়া কোনো বিলও প্রস্তুত করবে না বিতরণ সংস্থাগুলো।"
অর্থাৎ করোনাকালীন সময়ে যে ভুতুড়ে বিল সারা দেশে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল, সেক্ষেত্রে গ্রাহককে অভিযোগের ভিত্তিতে বাড়তি বিল মওকুফ করা হবে বলে জানান বিদ্যুৎ সচিব। এছাড়াও অভিযোগকৃত অতিরিক্ত বিলগুলো সমন্বয় করা হচ্ছেও বলে জানান তিনি।
কিন্তু এনটিএনবিডি নামক অনলাইনে মার্চ-এপ্রিল-মে মাসের এই অতিরিক্ত ভুতুড়ে বিল মওকুফ করাকে তারা "৩ মাসের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করেছে সরকার" শিরোনামে প্রকাশ করে যা একই সাথে ভূয়া এবং বিভ্রান্তিকর।
Claim : ৩ মাসের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করেছে সরকার: বিদ্যুৎ সচিব
Claimed By : Website, Facebook Posts
Fact Check : False
Next Story