না, মুসলমানদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে কোনও আইন পাশ করেনি ডেনমার্ক
বুম এমন কোনও তথ্য পায়নি যা প্রমাণ করে মুসলমানদের ভোট দেওয়ার অধিকার বন্ধ করতে ডেনমার্ক আইন বদল করেছে।
সোশাল মিডিয়া পোস্টে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে যে, মুসলমানদের ভোট দেওয়ার অধিকার খর্ব করতে ডেনমার্ক বিশেষ আইন এনেছে। কিন্তু ডেনমার্কে সে রকম কোনও আইন পাস হওয়ার প্রমাণ পায়নি বুম। সে দেশের সংসদীয় নির্বাচন সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে, তাতে ধর্মের ভিত্তিতি কোনও নাগরিকের ভোটাধিকার রদ করার কথা বলা নেই।
ফেসবুকে লিখিত পোস্টে বলা হয়েছে, "ডেনমার্কে মুসলমাদের ভোট দেওয়া বন্ধ করতে আইন পাস হয়েছে।"
এছাড়াও হিন্দিতে লেখা হয়: डेनमार्क में मुस्लिम समुदाय के वोट देने के अधिकार को ख़त्म करनेवाला कानून पास किया गया। এই দাবিটি ফেসবুক ও টুইটারে কয়েক'শ বার শেয়ার করা হয়েছে।
ফ্যাক্ট চেক:
'ডেনমার্ক ব্যানস মুসলিমস ফ্রম ভোটিং' (ডেনমার্ক ভোট দেওয়া থেকে বাদ দিয়েছে মুসলমানদের) – এই কি-ওয়ার্ডগুলি দিয়ে আমরা গুগুলে সার্চ করি। কিন্তু সে বিষয়ে কোনও সংবাদ প্রতিবেদন দেখতে পাওয়া যায় না।
এর পর ডেনমার্কের সোশাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ইন্টিরিয়র মিনিস্ট্রির (সমাজ বিষয়ক ও অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক) ওয়েবসাইটে ডেনমার্কের নির্বাচনী আইনটি খুঁটিয়ে দেখে বুম। তাতে বলা হয়, "১৮ বছর বয়স হয়েছে এমন যে কোনও ব্যক্তি, যিনি ডেনমার্কের নাগরিক, এবং এই কিংডম-এ (রাজ্যে) বসবাস করেন, তিনি সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য।"
বুম ডেনমার্কের সংসদীয় নির্বাচনের আইনও দেখে। সেটি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত m করা ছিল। ডেনমার্কের ভোটে কারা অংশ নিতে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত লেখা ছিল তাতে। সেই আইনে, বুম এমন কোনও ধারা খুঁজে পায়নি যেটি মুসলমানদের ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।
ডেনমার্কে মুসলমানদের নাগরিকত্ব খারিজ করে দেওয়া হয়েছে, সেই মর্মে কোনও সংবাদ প্রতিবেদনও দেখা যায়নি। নাগরিকত্ব খারিজ করা হলে, ভোটাধিকারও চলে যায় স্বাভাবিক নিয়মে। তবে ডেনমার্কের যে নাগরিকরা দেশ ছেড়ে চলে গিয়ে আইএসআইএস-এ যোগ দিয়েছেন, তাঁদের দ্বৈত-নাগরিকত্ব বাতিল করার আইন পাস করেছে সে দেশ। এ বিষয়ে, একাধিক সংবাদ প্রতিবেদন নজরে আসে। এ নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে. বুম বেঙ্গালুরুতে ডেনমার্কের কনসাল জেনারেল জেট্টে জের্রাম কে লিখেছে। তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলে, এই প্রতিবেদন আপডেট করা হবে।
(বুম লাইভের প্রতিবেদনের সৌজন্যে)