ছবিটি বঙ্গবন্ধু টানেলের নয়
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, জার্মানির একটি টানেল ও কর্ণফুলী নদীর ছবিকে এডিট করে যুক্ত করে বঙ্গবন্ধু টানেল বলে দাবি করা হচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে একটি টানেলের ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ছবিটি কর্ণফুলী নদীর নিচে অবস্থিত নির্মানাধীণ সুড়ঙ্গ সড়ক বঙ্গবন্ধু টানেলের। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২২ জানুয়ারি 'Jamir Jami' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, "ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু টানেল✌️ কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে স্থাপিত দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম টানেল_ উন্নয়নের সরকার বার বার দরকার। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু 🇧🇩।" স্ক্রিনশটে দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ছবিটির বর্ণনায় করা দাবিটি বিভ্রান্তিকর। ভাইরাল ছবিটি নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের নয়। মূলত, জার্মানির একটি টানেল এবং বাংলাদেশের কর্ণফুলী নদীর ভিন্ন দুটি ছবিকে সম্পাদনার মাধ্যমে একসাথে যুক্ত করে ভাইরাল ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে, উইকিমিডিয়া কমন্স সহ একাধিক ওয়েবসাইটে টানেলের ছবিটি খুঁজে পাওয়া গেছে। তন্মধ্যে নির্মাণ কাঠামো সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ডাটাবেস ওয়েবসাইট Structurae.net -এ ছবিটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে এটি 'Engelberg Base Tunnel' নামে সুড়ঙ্গ সড়কের ছবি যা জার্মানির লিওনবার্গ শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। স্ক্রিনশট দেখুন--
ভাইরাল ছবির নদীর অংশ পৃথক করে রিভার্স ইমেজ সার্চ করার পর, ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইট Trip.com-এ 'Karnaphuli River' নামের অ্যালবামে ভাইরাল ছবিতে ব্যবহৃত নদীর মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ আলাদা দুটি ছবিকে একসাথে সম্পাদনা করে ভাইরাল ছবিটি তৈরি করা হয়েছে, যা বঙ্গবন্ধু টানেলের নয়।
উল্লেখ্য গণমাধ্যমের খবর অনুসারে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মানাধীণ দেশের প্রথম টানেলের ভেতর সড়ক তৈরির কাজ প্রায় সমাপ্ত হয়েছে। চলতি বছরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল খুলে দেয়া হতে পারে।
সুতরাং জার্মানির একটি টানেলের ছবির সাথে কর্ণফুলী নদীর ছবিকে সম্পাদনা করে বঙ্গবন্ধু টানেল দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।