ইত্তেফাকের খবরের ফটোকার্ড এডিটের মাধ্যমে বিকৃত করে প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ইত্তেফাকের লোগো সহ একটি ফটোকার্ডে 'ছাত্রলীগ' এর স্থলে এডিট করে 'ছাত্রদল' লিখে প্রচার করা হচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে দৈনিক পত্রিকা ইত্তেফাকের একটি খবরের ফটোকার্ড পোস্ট করা হচ্ছে। ওই খবরের ফটোকার্ডে লেখা রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিমে গোপনে নারীর ভিডিও ধারণের ঘটনায় বাংলাদেশের বিরোধী ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরকম একটি পোস্ট দেখুন এখানে।
গত ১ সেপ্টেম্বর 'দুবাই ছাত্রলীগ' নামে একটি ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, "ক্ষমতায় আসার আগেই গোপনে ভিডিও করা শুরু করছে। এরা ক্ষমতায় আসলে যে কি হবে ভেবেই পাচ্ছি না।" পোস্টে যুক্ত ফটোকার্ডে "ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিমে গোপনে নারীর ভিডিও ধারণ, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার" দৈনিক ইত্তেফাকের লোগো সহ লেখা থাকতে দেখা যায়। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দৈনিক ইত্তেফাকের ফটোকার্ডটি এডিটেড। ইত্তেফাকে "ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিমে গোপনে নারীর ভিডিও ধারণ, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার" লিখা এমন একটি ফটোকার্ডকে এডিট করে 'ছাত্রলীগ' এর স্থলে 'ছাত্রদল' বসিয়ে বিকৃত করা হয়েছে।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে গত ৩১ আগস্ট "ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিমে গোপনে নারীর ভিডিও ধারণ, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার" শিরোনামে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এতে বলা হয়, "ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যায়ামাগারে আসা নারীর ব্যায়াম করার দৃশ্য গোপনে ভিডিও ধারণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌলভীপাড়ার একটি ব্যায়ামাগারে বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে ঘটনাটি জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যায়ামাগারের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব, ফিটনেস প্রশিক্ষক মিতু আক্তার ও সাইমকে আটক করে।" অর্থাৎ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিমে নারীর গোপন ভিডিও ধারণ করার ঘটনায় ছাত্রদল নেতা নয় বরং ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবরটির স্ক্রিনশট দেখুন--
একইভাবে সার্চ করে দৈনিক ইত্তেফাকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে আলোচ্য ফটোকার্ডটির মতো হুবহু একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। তবে ফটোকার্ডেও 'ছাত্রদল' নয় বরং 'ছাত্রলীগ' লেখা থাকতে দেখা যায়। ফেসবুক পোস্টটি দেখুন--
এবারে আলোচ্য ফেসবুক পোস্টে যুক্ত ফটোকার্ড (বামে) এবং দৈনিক ইত্তেফাকের ফেসবুক পেজে যুক্ত ফটোকার্ড (ডানে) এর মধ্যে পাশাপাশি তুলনা দেখুন--
অর্থাৎ দৈনিক ইত্তেফাকের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গত ৩১ আগস্ট প্রকাশিত একটি ফটোকার্ডের খবরকে এডিট করে 'ছাত্রলীগ' এর স্থলে ছাত্রদল বসিয়ে বিকৃতভাবে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং ইত্তেফাকের একটি ফটোকার্ড এডিট করে বিভ্রান্তিকর দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।