হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি করায় মারধর দাবিতে ভিন্ন ভিডিও প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ভাইরাল ভিডিওটি কুমিল্লায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দুই পক্ষের হাতাহাতির দৃশ্যের।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে বেশ কয়েকজন মানুষের মধ্যে হাতাহাতির একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, শেখ হাসিনাকে নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করায় সাধারণ জনগণ গণধোলাই দিচ্ছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১৮ মার্চ ‘বঙ্গবন্ধু সৈনিক’ নামক আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে উল্লেখ করা হয়, “কুমিল্লায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে নিয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য করার সাথে সাথে সাধারণ মানুষ উত্তম মাধ্যম দিলো, সবাই বলি আলহামদুলিল্লাহ,আজকের ইফতারের আগের ঘটনা।” নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ভাইরাল ভিডিওটি শেখ হাসিনাকে নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করায় সাধারণ জনগণ গণধোলাই দেওয়ার দৃশ্যের নয় বরং এটি চৌদ্দগ্রামে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের হাতাহাতির।
ভাইরাল ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটির প্রথমেই দেখা যায় `কুমিল্লা জার্নালের‘ লোগো।
পরে কি ওয়ার্ড সার্চ করে “চৌদ্দগ্রামে ছাএদলে প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকির অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের হাতাহাতি“ শিরোনামে ‘Comilla Journal’ এর ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। ২ জানুয়ারি প্রকাশিত ভিডিওটির সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়। ভিডিওটি দেখুন--
নিচে ভাইরাল ভিডিওর স্ক্রিনশট (বামে) এবং `কুমিল্লা জার্নালের‘ ফেসবুক পেজে প্রকাশিত অরিজিনাল ভিডিওর স্ক্রিনশট (ডানে) দুটির মিল দেখুন পাশাপাশি--
এদিকে, শেখ হাসিনাকে নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার কারণে গণধোলাই দেওয়ার কোনো খবর কি-ওয়ার্ড সার্চ করে পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ ভাইরাল ভিডিওটি ছাত্রদলের দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনার। শেখ হাসিনাকে নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করায় গণধোলাই দেওয়ার নয়।
সুতরাং ছাত্রদলের দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে শেখ হাসিনাকে নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করায় গণধোলাই দেওয়া হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।