বিধ্বস্ত গাজার ভিডিও দিয়ে ইসরায়েলে ইরানের হামলার বলে প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ভিডিওটি ইসরায়েলে ইরানের হামলার নয় বরং ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজার ভিডিও এটি।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হচ্ছে, ভিডিওটি ইরানের ৩০টি ইসরায়েলি 'F-35' যুদ্ধবিমান ধ্বংসের সময়ে ধারণ করা হয়েছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২ অক্টোবর 'প্রফেসর' নামে একটি ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হয়, "ইরান সফলভাবে ৩০টি ইসরায়েলি 'F-35' যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে, যা ৪০ হাজার শিশুর উপর গণহত্যা চালাতে ব্যবহৃত করা হয়েছিল। #highlightseveryone #viralchallenge #InternationalNews #FreePalestine"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ভিডিওটি ইরানের সাম্প্রতিক ইসরায়েল হামলার সময়ে ধারণকৃত নয় বরং গত ফেব্রুয়ারি মাসে গাজার রাফাহ শহরের আল শাবুরা ক্যাম্পে ইসরায়েলের হামলার পরে ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম কেটে নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল-আরাবিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি আলোচ্য ভিডিওটির মত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির বর্ণনায় বলা হয়, "গাজার রাফাহ শহরের আল শাবুরা ক্যাম্পে ইসরায়েলের ভয়ানক বোমাবর্ষণ"। ভিডিওটির স্ক্রিনশট দেখুন--
আরো সার্চ করে একই বর্ণনায় এই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল হাদাতের ইউটিউব চ্যানেলেও। স্ক্রিনশট দেখুন--
পরবর্তীতে আরো রিভার্স ইমেজ সার্চ করে তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির ওয়েবসাইটে গত ২ ফেব্রুয়ারি "Palestinian mayor warns of humanitarian disaster in Rafah on eve of possible Israeli onslaught" শিরোনামে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে আলোচ্য ভিডিওটির মত একটি স্থিরচিত্র খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েলের হামলায় গর্তের সৃষ্টি হয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ আলোচ্য ভিডিওটি ইসরায়েলে ইরানের হামলার সময় ধারণ করা হয়নি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে গাজায় ইসরায়েলের হামলার পরে গাজার রাফাহ শহরে আলোচ্য ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
উল্লেখ্য গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে মিসাইল হামলা চালায় ইরান।
সুতরাং গাজায় ইসরায়েলের হামলার ভিডিওকে ইসরায়েলে ইরানের হামলার ভিডিও বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।