ভুয়া ছবিসহ চেয়ারম্যান মিরানুল গ্রেফতারের খবর প্রচার
সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ছবি ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের নয় এবং তার গ্রেফতারের খবরও কোন বাহিনী এখনো নিশ্চিত করেনি।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মা ও মেয়েকে প্রকাশ্যে বেধে নির্যাতনের অভিযোগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে এরকম একটি খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে।
ফেসবুকে কিছু পোস্টে র্যাবের হাতে আটক এক ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করে তাকে মিরানুল ইসলাম বলে দাবী করা হচ্ছে।
পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তাছাড়া দৈনিক জনকণ্ঠও গতকাল 'মা-মেয়েকে নির্যাতনকারী সেই চেয়ারম্যান গ্রেফতার' এইরকম একটি খবর প্রকাশ করে।
ফ্যাক্ট-চেকঃ
বুম বাংলাদেশের প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায় এই ছবিটি এডিট করা। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে নারায়ণগঞ্জে র্যাব-পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে একের পর এক প্রতারণার অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক শাহীন আলম নামের এক ব্যক্তির ছবিতে মাথার অংশ এডিট করে সেটাকে মিরানুল দাবি করা হচ্ছে। দৈনিক সমকালে ২০১৮ সালের খবর ও ছবি দেখুন এখানে।
কক্সবাজার র্যাব এর পক্ষ থেকে মিরানুলকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে কক্সবাজার র্যাবের ডিউটি অফিসার মাজেদ বলেন, "তাকে আমরা গ্রেফতার করিনি।"
পুলিশ গ্রেফতার করেছে কিনা জানতে চকরিয়ার থানার ওসির নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে আজ মঙ্গলবার দৈনিক সমকালের এক প্রতিবেদনে পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, "মিরানুলকে গ্রেফতার করা হয়নি"।
প্রসঙ্গত, মা-মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট তিনজন গ্রেফতার হয়েছেন। তারা হলেন, স্থানীয় উত্তর হারবাং বিন্দারবানখীল এলাকার মাহবুবুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম (১৯), ইমরান হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩০) ও জিয়াবুল হকের ছেলে নাছির উদ্দিন (২৮)।