ছাত্রদল সভাপতির এআই জেনারেটেড ভিডিও বিভ্রান্তিকর দাবিতে প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ছাত্রদলের নতুন সভাপতি রাশেদ ইকবালের একটি ছবিকে এআই টুল ব্যবহার করে আলোচ্য ভিডিওটি বানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের একটি ভিডিও পোস্ট করা হচ্ছে যেখানে তিনি বলছেন, তার বয়স ৪৭ বছর। তার বড় ছেলের তাওহিদের বয়স ২৭ বছর। তাওহিদের আবার ৮ বছরের একটা মেয়ে সন্তান রয়েছে। ছাত্রসমাজ তাকে চাচা বা দাদা বলে ডাকবেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৮ আগস্ট 'Md. Samim Hasan' নামক একটি আইডি থেকে ২০ সেকেন্ডের ভিডিওটি পোস্ট করে বলা হয়, "৮ বছরের একটা বাচ্চার দাদা রাশেদ ইকবাল, এখন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি! ছাত্রদলকে এখন আর চাচ্চুদল নয়, বলতে হবে দাদাদল।" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশর্ট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ভিডিওটি বাস্তব নয়। সম্প্রতি মনোনীত ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবালের একটি ছবিকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) টুল ব্যবহার করে আলোচ্য ভিডিওটি বানানো হয়েছে।
আলোচ্য ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে রাশেদ ইকবাল খানের ফেসবুকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করা কয়েকটি ছবির মধ্যে আলোচ্য ভিডিওটির মত হুবহু একটি ছবি পাওয়া যায়। একুশে ফেব্রুয়ারির একটি অনুষ্ঠানের সময় ছবিগুলো ধারণ করা হয়। ওই পোস্টে আলোচ্য ছবিটির স্ক্রিনশট দেখুন--
মূলত তাঁর এই ফেসবুক পোস্ট থেকে স্থিরচিত্রটি নিয়ে এআই টুল ব্যবহার করে আলোচ্য ভিডিওটি বানানো হয়েছে। জেনারেটিভ এআই বর্তমানে উদীয়মান একটি প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির সাহায্যে কোনো চেহারা, ছবি ও কণ্ঠ ব্যবহার করে লিখিত নির্দেশনা থেকে যেকোনো ভিডিও তৈরি করা সম্ভব। D-ID এবং HeyGen এই প্রযুক্তির একটি অংশ। অনলাইনে সহজলভ্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেকোন ব্যক্তি যেকোনো ধরণের ভিডিও নির্মাণ করতে পারেন।
অর্থাৎ প্রচার হওয়া ভিডিওটি বাস্তব নয়।
সুতরাং এআই টুল দিয়ে তৈরি ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবালের একটি ভিডিওকে বিভ্রান্তিকর দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে।