ট্যারেন্টের ফাঁসির রায় হয়নি, হওয়ার সুযোগও নেই
ক্রাইস্টচার্চ হত্যাকাণ্ডের আসামিকে নিয়ে ভুয়া খবর ছড়িয়েছে অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক মাধ্যমে।
"অবশেষে ট্যারেন্টের ফাঁসির রায়, কার্যকর হবে শহিদদের পরিবারের উপস্থিতিতে" শিরোনামে একটি সংবাদ কিছু অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে।
এর মধ্যে ইসলাম টাইমস২৪.কম, দৈনিক জালালাবাদ, দৈনিক পত্রিকা ডটকম নামে কয়েকটি পোর্টালসহ আরো বেশ কয়েকটি পোর্টাল রয়েছে।
যদিও পরে ইসলাম টাইমস২৪.কম তাদের প্রতিবেদন সংশোধন করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই খবর ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদটিতে দাবি করা হয় "নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে অর্ধশত মুসল্লি হত্যা মামলার আসামি শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে আগামী ২৪ আগস্ট মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে।"
ডেইলি জং নামে একটি "বিদেশি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী" জানানো হয় যে, "নিউজিল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলায় অভিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনিয়ে ফাঁসি কার্যকরের জন্য ২৪ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন।"
ফ্যাক্ট চেক
প্রথমত:
"ট্যারেন্টের ফাঁসির রায়, কার্যকর হবে শহিদদের পরিবারের উপস্থিতিতে" এমন কোনো সংবাদ আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি।
২ জুলাই আল জাজিরায় প্রকাশিত খবর অনুসারে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে অর্ধশত মানুষ হত্যা মামলার আসামি ব্রেন্টন ট্যারেন্ট এর সাজার শুনানি ২৪ আগস্ট শুরু করা হবে। উল্লেখ্য যে ট্যারান্ট ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ থেকেই বন্দী।
আল জাজিরার সংবাদে বলা হয় "The sentencing hearing for an Australian man accused of killing 51 Muslim worshippers in New Zealand's worst mass shooting has been set to begin on August 24, the court said on Friday."
অর্থাৎ, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলা চালিয়ে অর্ধশত মুসল্লি হত্যা মামলার আসামি অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্টের সাজার শুনানি আগামী ২৪ আগস্ট শুরু হবে বলে কোর্ট জানিয়েছে।
একই খবর আনাদুলু এজেন্সি সহ অন্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।
কী সাজা হবে তা ওই দিন জানাবেন বিচারক। আগে থেকে 'ফাঁসির রায় হবে' বলার কোনো সুযোগ নেই।
দ্বিতীয়ত:
নিউজল্যান্ডে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি বা ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের বিধান শুধুমাত্র রাষ্ট্রদ্রোহীদের জন্য প্রযোজ্য। খুন বা অন্য কোনো অপরাধে কারো মৃত্যুদণ্ড হওয়ার বিধান দেশটিতে রহিত হয়েছে ১৯৬১ সালে। ফলে ব্রেন্টনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।