আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার পুরোনো খবর প্রচার
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার পুরোনো খবরকে বিভ্রান্তিকরভাবে প্রচার করা হচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলায় ২০জন নিহত হয়েছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৬ জুন 'Padma TV' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে এরকম একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "আ.লীগ অফিসে বো’মা হা’মলা নিহত-২০"। স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, মূলত ২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার পুরোনো একটি সংবাদকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে নতুন করে প্রচার করা হচ্ছে।
সংবাদের আদলে তৈরি ভিডিওর শুরুতেই উপস্থাপককে কিছু খবরের শিরোনাম পাঠ করাতে দেখা যায়। শিরোনাম পাঠের শেষে বিভিন্ন ঘটনার কিছু খবর পাঠের পর উপস্থাপককে ‘আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা, নিহত ২০’ শিরোনামে একটি সংবাদ পাঠ করতে শোনা যায়। খবরের বিস্তারিত অংশে উপস্থাপক ২০০১ সালের এই দিনে চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলায় ২০ জনের মৃত্যু সংক্রান্ত একটি খবর পাঠ করেন। খবরটি সাম্প্রতিক নয়। কিন্তু যেভাবে শিরোনাম ও থাম্বনিলে জুড়ে দেয়া হয়েছে, মনে হচ্ছে সাম্প্রতিক।
সার্চ করার পর, গত ১৬ জুন অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনে "আ.লীগ অফিসে বোমা হামলায় ২০ জন নিহত, ২২ বছরেও শেষ হয়নি বিচারকাজ" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি মূলত ২০০১ সালের এই দিনে চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা ও তার বিচারের ফলোআপ সংবাদ। আগেও এই হামলার বিচারের ফলোআপ সংবাদ প্রকাশ করে একাধিক সংবাদমাধ্যম।
অর্থাৎ সম্প্রতি আওয়ামী লীগ অফিসে কোনো বোমা হামলার ঘটনা ঘটেনি আর কেউ মৃত্যুবরণও করেনি।
সুতরাং চটকদার শিরোনামে আওয়ামী লীগ অফিসে কোনো বোমা হামলা ও ২০ জনের মৃত্যুর দুই দশকেরও বেশি পুরোনো খবর অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা বিভ্রান্তিকর।