বানোয়াট ঘটনাসহ আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের পুরোনো ছবি ভাইরাল
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, বিখ্যাত হলিউড অভিনেতা শোয়ার্জনেগারের ২০১৬ সালের এই ছবিটি ভিত্তিহীন গল্পসহ পোস্ট করা হচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে হলিউড তারকা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের ছবিসহ একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। দেখুন এমন কিছু পোস্টের নমুনা এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।।
গত ৩ জানুয়ারি 'Manikganj-1800 (Online Market) মানিকগঞ্জ-১৮০০ অনলাইন মার্কেট' নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে ছবিসহ একটি পোস্ট করে বলা হয়, হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার একটি হোটেলের সামনে স্থাপিত নিজের ব্রোঞ্জ মুর্তির নিচে শুয়ে আছেন। আরো বলা হয়, শোয়ার্জনেগার গভর্নর থাকাকালে তাঁর ভাস্কর্যসহ এই হোটেলটি উদ্বোধন করেন এবং সেসময়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, তাঁর জন্য সবসময় এই হোটেলের একটি কক্ষ বরাদ্দ থাকবে। অথচ আজ সেই হোটেলে তিনি গেলে তাঁকে জানানো হয় কোন কক্ষ খালি নেই, এরপর ছবিতে দৃশ্যমান নিজের মূর্তির সামনে শুয়ে থাকেন বিখ্যাত এই অভিনেতা। দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ছবিটি আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের হলেও বর্ণিত ঘটনাটি বানোয়াট। প্রথমত, গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চিং করে ছবিটি শোয়ার্জনেগারের ইন্সটাগ্রাম আইডিতে খুঁজে পাওয়া গেছে। ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি ছবিটি তার ভেরিফায়েড ইন্সটাগ্রাম আইডিতে পোস্ট করা হয়েছিল। দেখুন--
এছাড়া একই দিনে ছবিটি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজেও পোস্ট করা হয়। ক্যাপশন ছিল, 'How times have changed.' যার বাংলা হল 'সময় কিভাবে বদলায়'। দেখুন--
তার টুইটার আইডিতেও ছবিটি আপলোড করা হয়েছিল। কিন্তু ভাইরাল ফেসবুকে পোস্টে বর্ণিত শোয়ার্জনেগারকে হোটেলে জায়গা না দেয়ার ঘটনা সম্বলিত কোন তথ্যই তাঁর ব্যক্তিগত একাউন্টগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া প্রাপ্ত তথ্যমতে, শোয়ার্জনেগারের এই মূর্তিটি কোনো হোটেলের পাশে নয় বরং এটি আমেরিকার ওহিও রাজ্যের 'গ্রেটার কলাম্বাস কনভেনশন সেন্টার' এর সামনে স্থাপন করা। মূলত 'আফটারম্যাথ' নামের একটি সিনেমার শুটিংয়ের সময়ে এই ছবিটি তোলা হয়েছিল। দেখুন এ সংক্রান্ত একটি নিউজ আর্টিকেল এখানে--
পড়ুন এখানে।
এছাড়া, এএফপিসহ একাধিক ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা এরইমধ্যে এটিকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পড়ুন এমন দুটি রিপোর্ট এখানে এবং এখানে।
অর্থাৎ হলিউড অভিনেতা ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের ২০১৬ সালের পুরোনো ছবির সাথে বানোয়াট গল্প জুড়ে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।