ফেসবুক ভিডিওতে ভুয়া ও এডিট করা শিশুর ছবি
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হওয়া ভিডিওটি'র বর্ণিত তথ্যে একাধিক বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীন খবরের উল্লেখ পাওয়া গেছে।
ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখা যাচ্ছে যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত ৫টি শিশুর বর্ণনা দেয়া হয়েছে। দেখুন পোস্টটির লিংক এখানে।
Rohosso ved - রহস্য ভেদ নামের পেইজ থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয় যার শিরোনাম ছিল, "পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত ৫টি বাচ্চা । 5 Most Unique Kids In The World" দেখুন স্ক্রিনশট--
উক্ত ভিডিওটির ১ ৫৪ সেকেন্ডে একটি শিশুর সংক্ষিপ্ত একটি ভিডিও দিয়ে দাবি করা হয়, বাচ্চাটির অস্বাভাবিকভাবে ৩টি চোখ রয়েছে এবং তৃতীয় চোখটি তার কপালে অবস্থিত। আরো দাবি করা হয় উক্ত বাচ্চার খবর সামাজিক মাধ্যমের বাইরে পত্রিকাতেও এসেছে। ভিডিওতে বাচ্চাটির ছবি দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ তিন-চক্ষু বিশিষ্ট শিশুর খবরটি খোজ করে দেখে, ভিডিওটি এডিট করা। প্রথমত, এরকম একটি অদ্ভুত খবর মূল্ধারার কোন সংবাদমাধ্যমে আসেনি। বুম লাইভসহ একাধিক ফ্যাক্ট চেকিং সাইট যাচাই করে দেখেছে যে, উক্ত ভিডিওতে প্রদর্শিত অস্বাভাবিক শিশুটির কপালের চোখটি এডিট করে বসানো হয়েছে যা মূলত তার বাম চোখের অংশটি। কেননা, ভিডিওটি খুঁটিয়ে দেখলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, কপালের চোখের নড়াচড়া বাম চোখের নড়াচড়ার সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। আসলে শিশুটির বাম চোখের ছবির একটি কপি শিশুটির কপালের ওপর ডিজিটাল পদ্ধতি বসিয়ে ভাইরাল করা হয়েছে। দেখুন বুমলাইভে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমের স্ক্রিনশট-
বুম বাংলাদেশ ভিডিওটি একাধিক সামাজিক মাধ্যমে পেলেও তার আসল সোর্সটি অর্থাৎ সর্বপ্রথম কোথায় পোস্ট হয়েছে তা বের করতে সক্ষম হয়নি।
এছাড়া 'পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত ৫টি বাচ্চা' শিরোনামের ভিডিওটির ২:৪৩ সেকেন্ডে মালয়েশিয়ার কথিত 'বিড়াল মানব' এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দ্য সান, মেট্রোসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমে মালয়েশিয়ার পুলিশের বরাতে বলা হয়, খবরটি ভিত্তিহীন। পুলিশ জানায়, মালয়েশিয়ায় এমন কোনো অদ্ভুত বিড়াল সন্ধানের তারা পায়নি। দেখুন দ্য সানের খবরটির একটি স্ক্রিনশট--
অর্থাৎ উক্ত ভিডিওতে উল্লেখিত একাধিক তথ্য ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর।