অভিনেতা আলমগীরের মৃত্যুর খবরটি ভুয়া
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় অভিনেতা আলমগীরকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে অখ্যাত একটি অনলাইন পোর্টালের লিংক শেয়ার করে বলা হচ্ছে, ঢালিউডের জ্যেষ্ঠ অভিনেতা আলমগীর মারা গেছেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৫ জানুয়ারি 'সময় নিউজ টিভি ✅' নামে একটি পাবলিক ফেসবুক গ্রুপে 'আজকের খবর' নামে একটি আইডি থেকে একটি সংবাদ পোস্ট করে বলা হয়, "“কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর আর নেই তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন”!"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি মিথ্যা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় অভিনেতা আলমগীরকে গত ২৮ জানুয়ারি উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
আলোচ্য ফেসবুক পোস্টটির সাথে যুক্ত সংবাদটির লিংকে ঢুকে দেখা যায়, গত ২৫ জানুয়ারি প্রকাশিত সংবাদটির শিরোনামে আলমগীরের মৃত্যুর খবর লেখা হলেও এর বিস্তারিত অংশে অপ্রাসঙ্গিক কথা লেখা রয়েছে। স্ক্রিনশট দেখুন--
এদিকে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে অভিনেতা আলমগীরকে কেন্দ্র করে সর্বশেষ সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়, যা গত ২৯ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ জার্নালের ওয়েবসাইটে 'টিকে থাকার জন্য আমার তো ঢাল–তলোয়ার লাগবে: নিপুণ' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, 'এ বিষয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে একটি সভার আয়োজন করেন। মিটিংয়ে কমিটির সদস্যরা ছাড়াও আলমগীর, সুজাতাসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ অভিনেতা অংশগ্রহণ করেন।' অর্থ্যাৎ গত ২৯ জানুয়ারিই তাকে জনসম্মুখে দেখা গেছে। যদিও আলোচ্য ফেসবুক পোস্টে গত ২৫ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যুর সংবাদ দেয়া হয়। বাংলাদেশ জার্নালের খবরটির স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়াও বিভিন্নভাবে কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও অভিনেতা আলমগীরের মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি সংবাদমাধ্যমে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই অভিনেতার মৃত্যু হলে স্বাভাবিকভাবেই গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার কথা। অর্থাৎ অভিনেতা আলমগীরের মৃত্যুর খবরটি ভিত্তিহীন।
প্রসঙ্গত এর আগেও ২০২১ সালের জুলাই মাসে অভিনেতা আলমগীরের মৃত্যুর ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সেটা নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বুম বাংলাদেশ।
সুতরাং, চটকদার শিরোনাম দিয়ে বিস্তারিত অংশে অপ্রাসঙ্গিক তথ্য উল্লেখ করে অভিনেতা আলমগীরের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে একাধিক অনলাইন পোর্টালে, যা বিভ্রান্তিকর।