সৌদি গ্রান্ড মুফতির নামে ভুয়া ফতোয়া নতুন করে ভাইরাল
স্ত্রীর গোশত খাওয়া হালাল শীর্ষক খবরটি ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি রম্যরচনা। সেটিকে খবর আকারে ছড়ানো হচ্ছে ফেসবুকে।
ফেসবুকে একটি খবর বেশ কিছু বছর ধরে মাঝে মাঝেই ছড়ায়। একাধিক নিউজ পোর্টালেও খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, এক সৌদী মুফতি ফতোয়া দিয়েছেন, স্বামী তার স্ত্রীর মাংস খেতে পারবেন। দেখুন এমন কিছু পোস্ট এখানে এবং এখানে।
গত ২৪ জানুয়ারি Sriparna Bandyopadhyay এর আইডি থেকে একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করা হয় যেখানে লেখা ছিল, "স্ত্রীর গোশত খেতে পারবেন স্বামী- সৌদি গ্রান্ড মুফতি"। বলা হয়, সৌদির পুরুষেরা ক্ষুধা লাগলে তার স্ত্রীর মাংস খেতে পারবেন। দেখুন সেই পোস্টের স্ক্রিনশট-
আরও স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে একাধিক নিউজ পোর্টালেও বিভিন্ন সময়ে খবরটি প্রকাশ করা হয়। দেখুন স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ খবরটির ব্যাপারে অনুসন্ধান করে দেখতে পায় খবরটি ভিত্তিহীন।
সিএনএন এর আরবী সংস্করণের খবরমতে, পুরুষেরা নারীদের মাংস খাওয়ার ফতোয়ার খবরটির মূল উৎস 'গৌদ' নামক ওয়েবসাইটের একটি ব্যাঙ্গাত্মক লেখা। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ইসরাফিল আল মাগরিবি নামে একজন গ্র্যাণ্ড মুফতি শায়খ আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ'র বরাতে এই স্যাটায়ারটি লেখাটি লেখেন।
পরবর্তীতে আরব ও ইরানভিত্তিক একাধিক নিউজ পোর্টালে সেটি যাচাইহীনভাবে 'খবর' হিসেবে প্রকাশিত হতে থাকে। যদিও সিএনএন এর খবর মারফত জানা যায়, উক্ত স্যাটায়ারটির লেখক নিজেই জানিয়েছেন, তার লেখাটি ছিল নিতান্তই ব্যাঙ্গাত্মক।
পরের মাসে সৌদি প্রেস এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি গ্রান্ড মুফতি শায়খ আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ জানান, তিনি এমন কোনো ফতোয়া দেননি। এ বিষয়ে আল-আরাবিয়ার খবরটির স্ক্রিনশট দেখুন--
সুতরাং "স্ত্রীর মাংস খেতে পারবে স্বামী" শীর্ষক সৌদি গ্র্যান্ড মুফতির ফতোয়াটি মূলত অন্য এক ব্যক্তির লিখিত স্যাটায়ার এবং সৌদি মুফতি এমন কোনো ফতোয়া দেননি।