পঙ্গু হাসপাতালে কৃত্রিম পা সংযোজন: বুবলির ফেসবুক পেইজে ভুয়া খবর
তিন বছর আগের ফেসবুক পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে নতুন করে; চলতি বছর বিনামূল্যে পা সংযোজন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে না।
চিত্রনায়কি বুবলি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকালে একটি পোস্ট করেন। যা হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো--
"যদি কারো পরিচিত এমন কেউ থাকে যার হাটুর উপরে অথবা নিচের দিকে পা কাটা আছে, তাকে অবশ্যই "পঙ্গু হাসপাতাল (NITOR) এর ৩য় তলায় (শ্যামলী, ঢাকা)" এসে যোগাযোগ করতে বলবেন। সেখানে বিনামূল্যে কৃত্রিম পা লাগানো হবে।
এজন্য বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞরা এসেছেন এবং ১পঙ্গু হাসপাতালে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিনামূল্যে কৃত্রিম পা সংযোজন করা হবে
।
যদি কারো পরিচিত জনের এই সমস্যা থাকে তাহলে অতি দ্রুত সেবাটি গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
আপনার এটুকু তথ্য হয়তো কোন এক প্রতিবন্ধীর জন্য তার পা হারানোর বেদনা হতে ক্ষাণিক পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করবে।
#collected"
স্ক্রিনশটে দেখুন তার সেই ফেসবুক পোস্ট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ এর অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, 'collected' সূত্রের বরাতে প্রকাশ করা বুবলির পোস্টটি ৩ বছর আগের একটি ঘটনার।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে একই ধরনের পোস্ট ফেসবুকে অনেকে প্রকাশ করেন। দুটি লিংক দেখুন এখানে ও এখানে। একইসাথে দেখুন নিচের স্ক্রিনশটটি--
২০১৮ এবং ২০১৯ সালেও একই রকমের পোস্টে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। নিচের স্ক্রিনশটে দেখুন--
২০১৭ অভিনেত্রী জান্নাতুল ফিরদাউস মিষ্টি একই লেখা ফেসবুকে পোস্ট করার পর তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। দেখুন এখানে।
২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে পঙ্গু হাসপাতালে মঈন ফাউন্ডেশনের সহায়তায় বিনামূল্যে কৃত্রিম পা সংযোজনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল। সেই খবর দেখুন প্রথম আলোতে।
২০১৩ সালের পর থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়মিত প্রতি বছর এমন কার্যক্রম চলছে বলে একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।
চলতি ২০২০ সালে এমন কার্যক্রম চলছে কিনা বা শুরু হবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পঙ্গু হাসপাতালের অনুসন্ধান বিভাগ থেকে জানানো হয়, এ বছর কৃত্রিম পা সংযোজনের কোনো কর্মসূচি আয়োজনে কোনো পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি। যারা এ ধরনের কর্মসূচি স্পন্সর করতেন আগের বছরগুলোতে তাদের কেউ এবছর যোগাযোগ করেননি।
সিদ্ধান্ত: ৩ বছর আগের ফেসবুক পোস্টটি নতুন করে বুবলি এবং আরও যারা ফেসবুকে শেয়ার করছেন তারা যাচাই ছাড়াই ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন।