সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ছবিটি সিরিয়ার একটি বাড়ির। ছবিতে গুলির আঘাতে ঝাঁঝরা হওয়া একটি তিন তলা বাড়ির দোতলার বারান্দায় দুই শিশুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এমন কিছু পোস্টের লিংক দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২১ নভেম্বর 'Travel BD' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়, "A house in Syria. For those who don't know, those are all bullet holes." বাংলায় অনুবাদ করলে যার অর্থ দাঁড়ায় 'সিরিয়ার একটি বাড়ি, যারা জানেন না তাঁদের জন্য, এগুলো সব বুলেটের গর্ত" স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, পোস্টের বর্ণনায় করা দাবিটি সঠিক নয়। ছবিটি সিরিয়ার নয় বরং প্রায় ১৩ বছর আগে ফিলিস্তিনের গাজা স্ট্রিপের রাফা এলাকা থেকে তোলা হয় এটি।
ছবিটি রিভার্স সার্চ করার পর, বার্তা সংস্থা এএফপির একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান AFPBB News-এ জাপানিজ ভাষায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ করে দেখা যায়, প্রতিবেদনটি শিরোনামে লেখা আছে "Israeli Army Uses 'Human Shields', Report NGO Investigation In Gaza Attack ( জাপানিজ- イスラエル軍が「人間の盾」使用、ガザ攻撃のNGO調査報告)"। ছবিটি এএফপি নিউজ এজেন্সির সাইদ খাতিব ধারণ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। স্ক্রিনশট দেখুন--
একই ছবি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে ২০০৯ সালের ২ জুলাই "Amnesty International Accuses Israel and Hamas of War Crimes in Gaza" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও যুক্ত করতে দেখা গেছে। স্ক্রিনশট দেখুন--
পাশাপাশি, ছবিটি স্টক ছবির সাইট গেট্টি ইমেজেস-এর ওয়েবসাইটেও এএফপি নিউজ এজেন্সির ফটোগ্রাফার সাইদ খাতিবের ক্রেডিট সহ পোস্ট করা হয়েছে। এখানে ছবির সাথে যুক্ত করা ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালে ফিলিস্তিনের গাজা স্ট্রিপে ইজরায়েলের হামলার সময় ৯ জুলাই দক্ষিণ গাজা স্ট্রিপের রাফা এলাকা থেকে ছবিটি সাইদ খাতিব ধারণ করেছিলেন। দেখুন--
অর্থাৎ ছবিটি নিশ্চিতভাবেই সিরিয়ার কোনো বাড়ির নয়।
সুতরাং ফিলিস্তিনের একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাড়ির ছবিকে সিরিয়ার দাবি করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা বিভ্রান্তিকর।